Description: ওরে বাবা, সুমুদ্দরে? এবারে আবার কোন চুলোয়? পাতালে নয়তো?’ —’হতে পারে। তবে, আপাতত আগে যাব সাহেবদের দেশে—অর্থাৎ বিলাতে। সেখান থেকে একখানা গোটা জাহাজ রিজার্ভ করে যাব আফ্রিকা আর আমেরিকার মাঝখানে, আটলান্টিক মহাসাগরের এমন কোনও দ্বীপে, যার নাম কেউ জানে না।’ —’সঙ্গে যাচ্ছে কে কে?’ —’আমি, কুমার, বিনয়বাবু, কমল, বাঘা আর তুমি—অর্থাৎ আমাদের পুরো দল। এবারের ব্যাপার গুরুতর, তাই দু—ডজন শিখ, গুর্খা আর পাঠানকেও ভাড়া করতে হবে।’ রামহরি গম্ভীর মুখে বললে, ‘বেশ, তোমার যেখানে খুশি যাও, কিন্তু এবার আর আমি তোমাদের সঙ্গে নেই’—বলেই সে হন হন করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। বিমল চায়ের ‘ট্রে’ টেনে নিয়ে মুখ টিপে হেসে বললে, ‘রামহরি নাকি এবারে আমাদের সঙ্গে যাবে না! কিন্তু যাত্রার দিন দেখা যাবে সেইই হন হন করে আমাদের আগে আগে যাচ্ছে!……যাক, নাও কুমার না চাও! চা খেতে খেতে কাগজখানা আর একবার গোড়া থেকে পড়ো তো শুনি! বার বার শুনে সমস্ত ঘটনা মনের মধ্যে একেবারে গেঁথে ফেলতে হবে।’ কুমার খবরের কাগজখানা আবার তুলে নিয়ে চেঁচিয়ে পড়তে লাগল।