Description: যে গল্পটি বলতে বসেছি তা গল্প বটে, কিন্তু একেবারে সত্য ঘটনা। কবি শেকসপিয়র বলেছেন, সত্য হচ্ছে, উপন্যাসের চেয়ে আশ্চর্য। অন্তত এ-ঘটনাটি সত্য হলেও এমন আশ্চর্য যে, বিখ্যাত বিলাতি লেখক কন্যান ডইল সাহেব একে অবলম্বন করেই শার্লক হোমসের একটি গল্প লিখে ফেলেছেন। আমি কিন্তু শার্লক হোমসের গল্প তোমাদের শোনাব না, আমি যা বলব তা হচ্ছে, অস্ট্রিয়া দেশের সত্যিকার পুলিশের কাহিনি, এর প্রত্যেকটি কথা পুলিশের নিজস্ব দপ্তরে লেখা আছে। অস্ট্রিয়ার পুলিশ, চোর-ডাকাত-হত্যাকারী ধরবার জন্যে অনেক সময়ে এক নতুন উপায় অবলম্বন করে। ঘটনাস্থলে যে সব জিনিস পাওয়া যায়, পুলিশ সেগুলো দেয় রাসায়নিক পণ্ডিতদের হাতে। তাদের পরীক্ষার ফলে অপরাধীরা প্রায়ই বিচিত্র উপায়ে ধরা পড়ে। সে পরীক্ষার পদ্ধতি কীরকম, নীচের ঘটনা থেকে কতকটা আন্দাজ করা যেতে পারে। কিন্তু বর্তমান ক্ষেত্রে আর-একটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, রসায়নশাস্ত্রের দুজন অধ্যাপক ঘটনাস্থল থেকে তিনশো ষাট মাইল দূরে অবস্থান করেও এবং ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত কোন জিনিস চোখে না দেখেও আসল অপরাধী ধরে ফেলে পুলিশের চক্ষুস্থির করে দিয়েছিলেন! অপরাধের ইতিহাসে, এমনকী, কাল্পনিক গোয়েন্দা কাহিনিতেও এরকম ঘটনার কথা কেউ কখনও শোনেনি।