Description: চাকুরী গেল। এত করিয়াও কৃষ্ণদয়াল চাকুরী রাখিতে পারিল না। সকাল হইতে রাত দশটা পর্যন্ত (ডাউন খুলনা প্যাসেঞ্জার, ১০-৪৫ কলিকাতা টাইম) টিনের সুটকেস্ হাতে শিয়ালদ’ হইতে বারাসত এবং বারাসত হইতে শিয়ালদ’ পর্যন্ত ‘তাঁতের মাকু’র মত যাতায়াত করিয়া ও ক্রমাগত “দত্তপুকুরের বাতের তেল, দত্তপুকুরের বাতের তেল—বাত, বেদনা, ফুলো, কাটা ঘা, পোড়া ঘা, দাঁত কনকনানি, এক কথায় যত রকম ব্যাথা, শূলানি কামড়ানো আছে সব এক নিমেষে চলে যাবে— আজ চব্বিশ বছর এই লাইনে ওষুধটি প্রত্যেক ভদ্রলোক ব্যবহার করচেন, সকলেই এর গুন জানে—” বলিয়া চিৎকার করিয়াও চাকুরী রাখা গেল না। সেদিন বসু মহাশয় (ইন্ডিয়ান ড্রাগ সিন্ডিকেটের মালিক নৃত্যগোপাল বসু) কৃষ্ণলালকে ডাক দিয়া বলিলেন—পাল মশায়, কাল রাত্রের ক্যাশ জমা দেননি কেন? —আজ্ঞে আজ্ঞে—অনেক রাত হয়ে গেল—খুলনার ট্রেন—প্রায় বিশ মিনিট লেট্।